অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৭৮ ও মোহাম্মদ মিঠুনের অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করে ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ তাদের ইনিংসে তুলেছিল ২৭১।
২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামার পর শুরুতেই নিউজিল্যান্ডকে বিপদে ফেলে দেয় বাংলাদেশ। প্রথমে মার্টিন গাপটিলকে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান।
এরপর অফ স্পিনার মেহেদি হাসানের জোড়া আঘাতে ১১ ওভারে ৫৩ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায় ব্ল্যাকক্যাপসরা।
তাতে ম্যাচে এগিয়েও গিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু এরপরই বড় জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে এবং অধিনায়ক টম ল্যাথাম। আর এই জুটি ভাঙার পর ক্যাচ মিসের মহড়ায় ম্যাচ প্রায় ফসকে গিয়েছে বাংলাদেশের।
৪০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ২১১। জয়ের জন্য বাকি ১০ ওভারে তাদের চাই ৬১।
চতুর্থ উইকেটে কনওয়ে ও ল্যাথামের জুটিতে যেমন বিপদ কাটিয়ে ওঠে তারা, তেমনই সচল রাখে রানের চাকা।
৭৩ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন কনওয়ে। তাদের জুটি ম্যাচ থেকে ছিটকেই দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন তামিম।
তাসকিন আহমেদের বলটা মিড অনে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন কনওয়ে। সেখানে থাকা তামিম সরাসরি থ্রোয়ে বল লাগান স্টাম্পে, রিপ্লেতে দেখা যায়, পৌঁছতে পারেননি কনওয়ে। তাতে ভাঙে তাদের ১১৩ রানের জুটি।
এরপর ব্যাট করতে নামা জিমি নিশামকে প্রায় ফিরিয়েই দিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু তার বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ মিস করেন মুশফিকুর রহিম।
পরের ওভারে মেহেদি হাসান সুযোগ পেয়েছিলেন ল্যাথামকে ফেরানোর। কিন্তু নিজের বোলিংয়ে পাওয়া ল্যাথামের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলে বেঁচে যান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।
পরের ওভারে তাসকিনের বলে চড়াও হন ল্যাথাম। তুলে নেন ১৮ রান। তাতে আস্কিং রেট নেমে আসে সাতের নিচে।
৪০ ওভার শেষে উইকেটে আছেন ল্যাথাম ও নিশাম। ল্যাথাম অপরাজিত আছেন ৭৯ রানে।